ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ , ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন টার্গেট ফেব্রুয়ারি এপ্রিল : সিইসি প্রতিবছর জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণের অঙ্গীকার জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে অনিশ্চয়তা ইরান থেকে ঢাকায় পৌঁছালেন ২৮ বাংলাদেশি ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন নির্মাণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি শেষবারের মতো পর্দায় ফিরছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ শুধু পুরুষদের বিনোদনের জন্য ভাবা হতো আমাকে : স্কারলেট মাফিয়া চক্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আমির খান বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের গুজব নিয়ে মুখ খুললেন ফাতিমা এবার পাইরেসির কবলে পড়লো ‘কান্নাপ্পা’ ব্যস্ততার মাঝেই জন্মদিন পালন করলেন জয়া শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ বলতে নারাজ জাহিদ হাসান নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে যা জানালেন মাহি আবারও ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক ২৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছয় মাসে কর্মস্থলে ঝরেছে ৪২২ শ্রমিকের প্রাণ

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় জিম্মি পাচারকারী গ্রেফতার

  • আপলোড সময় : ০১-১১-২০২৪ ১১:৫০:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১১-২০২৪ ১১:৫০:২০ অপরাহ্ন
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় জিম্মি পাচারকারী গ্রেফতার
কৃষি ভিসায় ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় মানবপাচার চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার নারীর নাম কল্পনা বেগম (৩৬)। গতকাল শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বেপারী গত ২ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার কল্পনা বেগম ও তার সহযোগীরা কৃষি ভিসায় ইতালি পাঠানোর কথা বলে নুরুল ইসলামকে প্রলুব্ধ করে। তাদের প্রলোভনে ইতালি যাওয়ার জন্য সম্মত হয়ে নুরুল ইসলাম তাদের পাসপোর্ট প্রদান করে। এর কয়েকদিন পর চক্রের সদস্যরা তাকে জানায় যে তার ভিসা হয়েছে। তাদের কথামতো ২০২৩ সালের ২০ জুলাই নুরুল ইসলাম তাদের ১০ লাখ টাকা প্রদান করে। টাকা পাওয়ার পর মানবপাচার চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামকে প্রথমে দুবাই ও পরে লিবিয়া নিয়ে যায়। সেখানে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য জামির ও ইসমাইল নুরুল ইসলামকে ইতালি না পাঠিয়ে জিম্মি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তারা ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে ফোন করে জানায়, বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইলে কিংবা ইতালি যেতে চাইলে দেশে থাকা তাদের সদস্য আবদুল লতিফের কাছে আরও ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, বাধ্য হয়ে নুরুল ইসলামের স্ত্রী জমি বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা দেশে থাকা পাচারকারী চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে। টাকা পাওয়ার পরও তারা ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামকে দেশে বা ইতালি পাঠায়নি। পরবর্তী সময়ে গত ১১ জুন লিবিয়া পুলিশের সহায়তায় ছাড়া পেয়ে নুরুল ইসলাম দেশে ফিরে আসেন। তদন্তাধীন মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এজাহারভুক্ত আসামি কল্পনা বেগমকে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মানবপাচারে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স